নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা ওরফে এরশাদকে মনিষা ভাদুরী মেরি নামে এক তরুনীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন মাসুদের স্ত্রী নাজমুন নাহার রুনি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে মাসুদ রানার সঙ্গে বিয়ে হয় নাজমুন নাহার রুনির। যৌতুক হিসেবে মাসুদকে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্রিমিও মডেলের গাড়িও দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকেই রুনিকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল মাসুদ। অন্যদিকে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন মেরির সঙ্গে; কিন্তু এর প্রতিবাদ করায় অধিক নির্যাতনের শিকার হন রুনি।
গত ৮ জুলাই স্বামী মাসুদ আরও ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এই টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে বেদম মারধর করেন মাসুদ। গত ১১ জুলাই আবার রুনিকে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবার বাড়িতে চলে আসেন রুনি এবং মামলা করেন।
গত বুধবার রাতে গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেনÑ মনিষা ভাদুরী মেরীর বোন জয় ভাদুরী, মা রিনা আচার্য এবং গাজীপুর সদরের বাড়িয়া এলাকার কামরুল ইসলাম। গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমির হোসেন জানান, মাসুদকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।–ঢাকাটাইমস